টেকনাফের ইউএনও সাংবাদিককে যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা ‘মাস্তানদের চেয়েও খারাপ’।কোনো ‘রং হেডেড পারসন’ ছাড়া এমনভাবে বলতে পারেনা বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
সংবাদ প্রকাশ করার জেরে ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার প্রতিনিধি সাইদুল ফরহাদকে গালিগালাজ করার ঘটনায় টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ কায়সার খসরুর বিরুদ্ধে কী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে রোববার উচ্চ আদালতের নজরে আনেন।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ইউএনওর আচরণ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, “উনার ভাষা তো খুবই আপত্তিকর, এটা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। উনি যেভাবে বলেছেন, সেটা কোনো ভাষা হতে পারে না। মাস্তানদের চেয়েও খারাপ ভাষায় সে বলেছে।
সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।তারা যদি কোনো অপরাধ করেন, তাহলে আইন আছে, প্রেস কাউন্সিল আছে কিন্তু এভাবে গালিগালাজ তো কেউ করতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিওতে ইউএনও কায়সারকে একটি অনলাইন পত্রিকার এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে শোনা যায়। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে শুক্রবার সমাধানের জন্য দুপক্ষকে ডাকা হয়। সেখানে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান ইউএনও।
ওই ঘটনায় ইউএনও কায়সার খসরু ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন, সে বিষয়টি উল্লেখ করে বিচারক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চাইবেন।।