নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার নারী ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা উপ- পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত ) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বিরুদ্ধে।
সোমবার ২৩মে দুপুরে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ- পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত ) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বিরুদ্ধের ধর্ষণের মামলা করে ভুক্তভোগী নারী।
মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেন বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পেশকার এ এম মাইনুল ইসলাম।
আদালত দেয়ার তথ্যের মতে, ২৩ মে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বরাবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারা ও তৎসহ দন্ডবিধি ৫০৬ (২) ধারার ধর্ষনের আইনে বাদী পক্ষ হয়ে আইনজীবী দীপঙ্কর দাশ গুপ্ত মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে এজাহার সুত্রে জানা যায়, বিভিন্ন কায়দায় কথোপকথনের এক পর্যায়ের ঐ নারীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসেন তিনি। অথচ প্রেমের প্রস্তাব নাকোচ করার পর তিনি কোরআন শরিফে শপথ করে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। পরবর্তীতে গেল ২০১৯ সালে ৪ জুলাই বিকালে ঐ নারীকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে আসেন। অফিসে এসে নিজ শোয়ার রুমে নিয়ে এক প্রকার ধর্ষণের তান্ডব চালায়। ঐ মহিলাটি নাকোচ করার পর ও শীঘ্রই বিবাহের আবদ্ধ হবেন এই প্রলোভনে অসংখ্য বার ধর্ষণ করেন।
আরো জানা গেছে কয়েকদিন পর পর শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে না পারলে ঐ ভুক্তভোগী নারীকে নিজ মোবাইলে ইমো হতে ভিডিও কলের মাধ্যমে অকার্যকলাপ শুরু করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মহিলাটি বিয়ের জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ- পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত ) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহকে জানালে ও কোরআন শপথের কথা মনে করিয়ে দিলে ভুক্তভোগী নারীকে নিজের গোপন কক্ষ থেকে বের করে দেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা। এ সময় কারো সামনে এ ঘটনা নিয়ে মুখ খুললে মেরে ফেলার হুমকিও প্রদান করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে ফোনটি কেটে দেন।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ- পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত ) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানিয়েছে, এটা তার সম্পর্কে মামলার বাদীনির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয় বলে জানান তিনি।
বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পেশকার এ এম মাইনুল ইসলাম জানান, গত ২৩ তারিখে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছে। এ মামলায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ ওসিকে তদন্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে।