করোনার কারণে ২০২০ সালের শেষ দিনে থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনো আয়োজন নেই। তারপরও ছুটি কাটাতে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ছুটে আসছেন হাজার হাজার পর্যটক। সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে বুকিং হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এই সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানাতে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ছুটেআসেন। প্রতি বছর ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয় সব হোটেল ও মোটেলকে। কিন্তু এ বছরতা চোখে পড়ছে না। তবে হোটেল মোটেলে বাড়ছে রুম বুকিং।
হোটেল কক্স-টুডে’র ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার অং বলেন, ইতিমধ্যে হোটেলপর্যটক আগমন শুরু হয়েছে।
সী গাল হোটেলের ম্যানেজার তারেক বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও প্রচুর পর্যটক হোটেলে এসেছে। শতভাগ রুম বুকিং বলা যায়। থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে প্রতি বছর তারকামানের হোটেলগুলোতে থাকে নানা আয়োজন। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর কোনো আয়োজন নেইবলে জানালেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের মুখপাত্র আবু তালেব শাহ বলেন, পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে লাখো পর্যটকের সমাগমহয় কক্সবাজারে। আর তাদেরকে আনন্দ দেয়ার জন্য নানা আয়োজন করা হয়ে থাকে তারকা মানের হোটেল গুলোতে। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। করোনার কারণে কোন আয়োজন থাকছে না। আশা করি; নতুন বছর করোনার ভয় কাটিয়ে ভালভাবে ব্যবসা হবে।
পর্যটকদের আগমনকে ঘিরে নতুন করে নিরাপত্তার ছক করছেন বলে জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশ। আর করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানতে পর্যটকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ জেলা প্রশাসনের।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, কলাতলী থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পয়েন্ট পর্যন্ত আমাদের ফোর্স থাকবে। পাশাপাশি হোটেল মোটেল জোনেও অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন হবে। ফলে নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আগত পর্যটক কক্সবাজারে ঘুরাফেরা করতে পারবে।