মো. রবিউল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:- কালবৈশাখীর প্রথম ছোবলে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় নড়বড় ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার পর ঘন্টাব্যাপী ঝড়-তুফানে কালবৈশাখীর তান্ডবের খন্ড চিত্র জানান দিয়ে গেছে। এ সময় উপজেলার গভামারা কালাপানি, যোগ্যাছোলা, গোরখানা, তুলাবিল, বড়বিল, ডাইনছড়ি, বাটনাতলী, গাড়ীটানা, তিনটহরী, গচ্ছাবিল, হাতিমুড়া, ওসমানপল্লী, মলঙ্গীপাড়া, রাঙ্গাপানি, একসত্যাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নড়বরে ঘর, বেশ কয়েকটি মুরগীর খামার, রান্নাঘরের চাল, ফলের গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে।
গভামারায় এইচ এফ পোল্টি ফার্মের চালা উপড়ে পড়ে ঘরের ভেতরে থাকা দুই শ্রমীক আহত হয়েছে। এঘটনায় ফার্মের বেশ কিছু মুরগির বাচ্চা মারা যায়। এছাড়াও দীর্ঘ সময় খামারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান খামার মালিক আবুল কালাম আজাদ।
এদিকে গোরখানা শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুনিয়া দাখিল মাদরাসার একটি ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়াও ছোটখাট অর্ধশত ঘর-দরজার বেড়া ও টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে বৈশাখী ঝড়ে। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তহিদ উদ জামান বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোন তথ্য বিকেল পর্যন্ত আমরা পাইনি। জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত দিলে আমরা সেগুলো যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
উপজেলা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, ঝড়ে চট্টগ্রাম হাটহাজারী -খাগড়াছড়ি ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের পিলার ভেঙ্গে এবং বিভিন্নস্থানে প্রচুর ডাল-পালা ও গাছ উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লাইন মেরামতে কাজ চলছে। বিদ্যুৎ পেতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যেতে পারে।