‘বসন্ত বাতাসে সইগো’, ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া’সহ অসংখ্য গানের স্রষ্টা শাহ আবদুল করিমের ১০৬তম জন্মদিন আজ।
১৯১৬ সালের আজকের দিনে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।তার বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান। দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল আবদুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তার নিত্যসঙ্গী। জীবন কেটেছে সাদাসিধেভাবে। বাউল ও আধ্যাত্মিকক গানের তালিম নেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে। কিংবদন্তি এই বাউল সশরীরে আমাদের মাঝে না থাকলেও তার গান ও সুরধারা কোটি কোটি তরুণসহ সব স্তরের মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।
কিংবদন্তি এই বাউল সম্রাট গানে-গানে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এ জন্য মৌলবাদীদের দ্বারা নানা লাঞ্ছনারও শিকার হয়েছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময় গণসংগীত গেয়ে লাখ লাখ তরুণকে উজ্জীবিত করেছেন। বাংলা সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০১ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
২০০৯ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি ক্লিনিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।