(রিপন ওঝা,মহালছড়ি)
মহালছড়ির ভুয়া সাংবাদিক আব্দুল জলিল(২৮)কে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে তারিখঃ-২৬/১২/২০২০ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০২০ এর ৯/৪(খ)মামলা করা হয়।
উক্ত মামলায় ভুয়া সাংবাদিক আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়। মহালছড়ি থানার এসআই মোঃ শেখ ফরিদ ও মোঃ শেখ ইফতেখার মাহমুদ এবং এস আই মোঃ হারুণ অর রশিদ সহিত সম্মিলিত ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপরাধী মোঃ আব্দুল জলিলকে ধরা হয় এবং রাতেই আসামী আব্দুল জলিলকে বিধি মোতাবেক খাগড়াছড়ির সদর থানায় প্রেরণ করা হয়।
উপরোক্ত ঘটনায় এজাহার কপি অনুয়ায়ী জানা যায় যে, মেয়ের মা সেলিনা বেগম নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে তারিখঃ-২৬/১২/২০২০ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০২০ এর ৯/৪(খ)মামলা করা হয়। খাগড়াছড়ি সদর থানার মামলা নং-০৬।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান এই ভুয়া সাংবাদিক দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন মানুষের ছবি তুলে সংবাদের শিরোনাম করে দিবে বলে, এমন ভয় দেখিয়ে জায়গা-জমি বেদখল ও বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। সর্বশেষ কথা কলুষিতমুক্ত থাকুক সংবাদমাধ্যম বেঁচে থাকুক গণ মানুষের আশা-ভরসার গণমাধ্যম। কথায় আছে চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন। তার কপালে তাই ঘটলো।
উল্লেখ্যে যে, মহালছড়ি উপজেলার ৩নং ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মর্জিনা আক্তার(১৫)(ছদ্ম নাম)কে সাংবাদিক বানিয়ে চাকুরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা থেকে আগত বড় মাপের খ্যাতিমান সাংবাদিকদের সাথে পরিচয় ও কনফারেন্সসহ বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়।