আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- চীনগামী ৪৪টি ফ্লাইট স্থগিতের করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এর আগে করোনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এয়ারলাইনসগুলোর বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করে চীন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো। শনিবার (২২ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগ জানায়, জিয়ামেন এয়ারলাইনসের লস অ্যাঞ্জেলেস-টু-জিয়েমেন ফ্লাইট স্থগিতের কার্যক্রম শুরু হবে ৩০ জানুয়ারি থেকে। যা অব্যাহত থাকবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। তাছাড়া জিয়েমন, এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস ও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের কিছু ফ্লাইট কমিয়ে আনার কথাও জানানো হয়।
ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের পর থেকে চীনের কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রর ইউনাইডেট এয়ারলাইনসের ২০টি, আমেরিকান এয়ারলাইনসের ১০টি, ডেল্টা এয়ারলাইনসের ১৪টি ফ্লাইট বাতিল করে। কিছু যাত্রীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই চীন এমন সিদ্ধান্ত নেয়।
ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, চীনে প্রবেশকারী যাত্রীবাহী ফ্লাইটের নীতিগুলো ন্যায্যতা, উন্মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে তিনি অযৌক্তিক বলে আখ্যা দেন। চীনের সাধারণ যাত্রীবাহী প্লেনগুলোর চলাচল স্বাভাবিক রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
ইউনাইটেড, ডেল্টা, আমেরিকান এয়ারলাইনসহ আরও কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্যিক সংগঠন ‘এয়ারলাইনস ফর আমেরিকা’ বলেছে, ভ্রমণকারীদের ওপর বিধিনিষেধের প্রভাব কমানোর বিষয়ে মার্কিন এয়ারলাইনগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।
আকাশ পরিবহনসেবা নিয়ে বেইজিং-ওয়াশিংটনের বিরোধের শুরু মূলত করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম থেকেই। সবশেষ ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ও চীনের চারটি এয়ারলাইনস প্রতি সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। মহামারির আগে এর সংখ্যা ছিল ১০০টিরও বেশি।