মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পার্বত্যবাসী আপনার নিকট কৃতজ্ঞ। শান্তিচুক্তির সুফল নানিয়ারচরে চেঙ্গী সেতু উদ্বোধনের ফলে পার্বত্যাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে গেলে। এটা শান্তি চুক্তি সুফল।
১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি অর্থাৎ শান্তি চুক্তি সম্পাদিত না হলে এই সেতু নির্মাণ কখনও সম্ভব হতোনা। শান্তিচুক্তির ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন এসেছে। আরও উন্নয়ন দরকার। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাই হলো উন্নয়নের পূর্বশর্ত। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা যে কোন মূল্যেই করতে হবে।
বর্তমানে নানিয়ারচর-লংগদু-বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা উপজেলাবাসী উপকৃত হবে। তবে বাঘাইছড়ির সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য মাইনীর সুয়ারীপাতাছড়া এলাকায় একটি সেতুর কারণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটি জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করা না হলে সকলে চেঙ্গী সেতুর সুফল ভোগ করতে পারবেনা।
এলজিইডি কর্তৃক সুযারী পাতাছড়াতে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। এখনও টেন্ডার আহবান করা হয়নি। এছাড়াও কাচালং নদীর উপর বটতলী এবং বারিবিন্দু ঘাট এলাকায় আরও ২টি সেতু নির্মানের জন্য এলজিইডি কর্তৃক উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে যতদ্রæত সম্ভব সুয়ারী পাতাছড়াসহ অপর দুইটি সেতু নির্মাণ করা দরকার। সুয়ারী পাতাছড়া সেতুটি নির্মাণ করা হলে রাঙ্গামাটি-নানিয়ারচর-লংগদু-বাঘাইছড়ি সাজেক যোগাযোগ অত্যান্ত সহজ হবে। লঞ্চ যাত্রীদের দূর্ভোগও লাঘব হবে।
বর্তমানে বছরের মধ্যে ৬মাস নদী ভরাটের ফলে নৌ-যোগাযোগ বন্ধ থাকে। একটি সেতু নির্মাণ করা গেলে রাঙ্গামাটি থেকে সরাসরি বাস সার্ভিসও চালু করা যাবে। আর বর্তমানে লঞ্চ যোগে ৪/৫ ঘন্টার বেশী সময় লেগে যায়। সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করা গেলে ২/৩ ঘন্টার মধ্যে বাঘাইছড়িতে পৌছানো সম্ভব।
অতএব সুয়ারী পাতাছড়া সেতুটি দ্রততার সাথে টেন্ডার আহবান করে (স্থানীয় পত্রিকায়) স্থানীয় যোগ্যতা সম্পন্ন, অভিজ্ঞ এবং সৎ ঠিকাদারদের কাজের দায়িত্ব দেয়ারও দাবী রাখছি। এছাড়াও সেতুটি নির্মাণ হলে সাজেকের মিজোরাম সীমান্তের পাশদিয়ে বান্দরবান-কক্সবাজার পর্যন্ত যোগাযোগের নতুন দ্বার সুচনা হবে।