চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের জন্য সরকার ‘প্রবাসী কল্যাণ শিক্ষা বৃত্তি’ চালু করে। ২০১২ সাল থেকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক প্রবাসী মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অধীনে এ কার্যক্রমে প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের মধ্যে যারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি কিংবা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৮০ প্রাপ্ত হয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে তারাই এ বৃত্তির আওতায় আসে। তবে প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর সন্তানগণ জিপিএ-৪ পেলেই আবেদন করতে পারে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে গত ৯ বছরে মোট এক হাজার ৮৪১ জন পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি লাভ করে। এর মধ্যে ২০১২ সালে ১২ জন, ২০১৩ সালে ২০ জন, ২০১৪ সালে ২৮ জন, ২০১৫ সালে ৬০ জন, ২০১৬ সালে ১৯৬ জন, ২০১৭ সালে ১৩১ জন, ২০১৮ সালে ১৬৪ জন, ২০১৯ সালে ৩০৪ জন এবং ২০২০ সালের শুরুতে ৩৭৫ জন এবং সর্বশেষ ৫৫১ জন। এ ক্ষেত্রে পিইসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী ১৪ হাজার টাকা করে তিন বছর, জেএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী ২০ হাজার ৫০০ টাকা করে দুই বছর, এসএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী ২৭ হাজার টাকা করে দুই বছর এবং এইচএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী ৩৪ হাজার টাকা করে ৪ বছর ধরে এ বৃত্তি লাভ করে। শিক্ষার্থীর আবেদনের পর চেকের মাধ্যমে তাকে এ টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম থেকে এবার ৫৫১ জন শিক্ষার্থী ‘শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে। প্রতি বছরই এ সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে প্রবাসে মৃত্যুবরণ করেছে এ ধরনের পরিবারের সন্তানদের মেধার ভিত্তিতে এ শিক্ষাবৃত্তি প্রাধান্য পাচ্ছে।