নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে। করোনায়ও বন্দর সার্বক্ষণিক সচল ছিলো। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনার সংকটকালে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রেখেছেন। এটা চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আপনারা নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনারা বন্দর সচল রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে বন্দরের ১৪তম উপদেষ্টা কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজের টাকায় সরকার বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয়। দেশের যেকোনো মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তে অবস্থান করুক না কেন গর্ব করে বলে, আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। আমরাও গর্ব অনুভব করি। আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রুপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে। আগে দেশে মহাসড়ক ছিল না; এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল কত কিছু হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে। এসব কিছু সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি আমাদের দ্বিতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভা।
বিরাট সম্ভাবনার বাংলাদেশ নেতিবাচক সংবাদ চায় না মন্তব্য করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে, দেশের সুনাম মর্যাদা রক্ষার জন্য অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। আপনাদের লিখনী, সংবাদ পরিবেশন আমাদের প্রেরণা, সাহস জুগিয়েছে। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশে একটা সময় ছিল নেতিবাচক সংবাদই বড় সংবাদ। বাংলাদেশ এখন সে জায়গায় নেই। এদেশের মানুষ, পাঠক নেতিবাচক সংবাদে বেশি দৃষ্টি দেয় না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলমের সঞ্চলনায় সভায় ১৩তম সভার সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।
চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন প্রতিমন্ত্রী পরে চট্টগ্রাম বন্দর ফোয়ারার মোড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। ওয়ান স্টপ সার্ভিস ভবনটি ১১তলা বিশিষ্ঠ ভবন হবে। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যক্রম আধুনিক ও যুগোপযোগি ব্যবস্থা প্রদান করা যাবে।