করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ২৫বছরের উর্ধ্বে দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে রাঙামাটির সদর উপজেলায় করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৭টি কেন্দ্রে একযোগে এই গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় মগবান ও জীবতলী ইউনিয়নের ৪টি কেন্দ্রে পরিদর্শন করেন প্যানেল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম।
পরিদর্শনকালে নাসরিন ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সারাদেশে একযোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফ্রিতে টিকা সহায়তা প্রদান করেছেন। এছাড়া প্রাকৃতিক দূর্যোগ উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে করোনার টিকা সেবা গ্রহণ করায় ইউনিয়নবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
টিকা নিতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তারা জানান, টিকা নেওয়ার আগে একটু ভয় ছিল। কিন্তু টিকা নেওয়ার সময় তা একেবারেই টের পাইনি। জীবনে আজ প্রথম করোনার টিকা নিয়েছি। টিকা নেওয়ার পর আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে আমাদেরকে ফ্রিতে করোনার টিকা প্রদান করেছেন।
এদিকে সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১নং জীবতলী ইউনিয়নে- হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবতলী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, চেয়ারম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২নং মগবান ইউনিয়নে- যগনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গবঘোনা নাসির মেম্বারের বাড়ি, গরগর্য্যাছড়ি জ্ঞানলাল চাকমার বাড়ি, ৩নং সাপছড়ি ইউনিয়নে- সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, প্রিয়মোহন দেওয়ানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেপ্পোয়াছড়িমূখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪নং কুতুকছড়ি ইউনিয়নে- কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বড়মহাপুরম উচ্চ বিদ্যালয়, ৫নং বন্দুকভাঙা ইউনিয়নে- মুবাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চংড়াছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিচিং আদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬নং বালুখালী ইউনিয়নে- কাবুক্যাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিল্লামুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খারিক্ষ্যং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ১৭টি কেন্দ্রে ১২তারিখ পর্যন্ত গণটিকার কার্যক্রম চলবে।