ইউনুছ আরফিন,বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি:
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গিয়ে খাল, বিল, ঝিড়ি ঝর্ণা, রিংওয়েল, টিউবওয়েল শুকিয়ে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
দেশের দক্ষিণ পূর্বাংশে অবস্থিত সবচেয়ে বড় উপজেলায় বসবাসরত দেড় লক্ষাধিক মানুষের বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট নিরসনে ৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫ শত ৭০টি ৪০০ ফুট গভীর নলকূপ (ডিপ টিউবওয়েল) স্থাপনের কাজ শুরু করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এরই মধ্যে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩০০টি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ শেষ করে উপকার ভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ২৭০টির কাজও চলমান রয়েছে। এসব নলকূপের সাথে প্রয়োজনীয় পাইপের পাশাপাশি একটি ১০০০ লিটার পানির ট্যাংক ও একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাবমারসিবল পাম্পও রয়েছে। উপজেলা প্রোকৌশল বিভাগ বলেছে সবগুলো নলকূপ বসানো শেষ হলে বাঘাইছড়িতে পানির সংকট প্রায় কমে আসবে বলে ধারণা করা যায়।
এদিকে, পানির সংকট নিরসনে সরকারের এমন তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণে খুশি স্থানীয়রা। গ্রামবাসী অনেকেই বলেছেন আগে বিভিন্ন ছড়া, ঝর্ণা থেকে পানি খেলেও এখন গভীর নলকূপ থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ ও খেতে পারবে। ফলে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমবে।
সোমবার (৩১ মে) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে এসব নলকূপ পরিদর্শন শেষে পানি পান করে পরীক্ষা করে দেখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশী আব্দুর রাজ্জাক।
ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাইয়ুম বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের বেশিরভাগ লোকজন পাহাড়ের চূড়ায় বসবাস করে, যার কারণে টিউবওয়েল স্থাপন করেও পর্যাপ্ত পানির চাহিদা মিলে না। যার ফলে পাহাড়ি ছড়ার দূষিত পানিতে গোসল করে অসুস্থও হয় লোকজন। আমাকে এমনটি জানিয়েছে পাহাড়ি চূড়ায় বসবাসরত স্থানীয়রা। তাই আমরা উপজেলা পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ তাদের দুঃখ বিমোচনে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবো।